হেবা দলিল কি এবং কে কাকে হেবা করতে পারে যেনে নিন
হেবা দলিল কি?হেবা দলিল দিয়ে কি খারিজ করা যায়,হেবা দলিল কি বাতিল করা যায় এবং হেবা কে কাকে করতে পারে এ বিষয় গুলো নিয়ে আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করবো।
হেবা দলিল কি?এটা জানর জন্য Google এ র্সাচ করে থাকি এবং হেবা কে কাকে করতে পারে আমাদের সকলেরই এটা জনা দরকার।হেবা দলিল এর মুলে জমি ত্রুয় করলে নামজারি কারা জাবে এবং হেবা দলিল কি এই পোষ্টটি মনোযোগ দিয়ে পরলে ১০০% হেবা দলিল সর্ম্পকে জানতে পারবেন।
পোস্টসূচীপত্র:হেবা দলিল কি এবং কে কাকে হেবা করতে পারে যেনে নিন
- হেবা দলিল কি
- কে কাকে হেবা করতে পারে?
- দান করার যোগ্য ব্যক্তি
- অজাত ব্যক্তির বরাবরে দান
- বৈধ দানের আবশ্যকীয় শর্তাবলী
- দখল প্রদান
- স্বেচ্ছায় বা বিনাপনে
- দাতা
- দানগ্রহীতা
- দানের বিষয়বস্তু
- দাতা কর্তিক্য দান সম্পর্কে ঘোষণা
- দানকৃত সম্পত্তির অস্তিত্ব
- দান গ্রহণ
- স্বেচ্ছা প্রণোদিত
- দখল হস্তান্তর
- মালিকানা
- রেজিস্ট্রেশন
- হেবা দলিল কি খারিজ করা যায়
- হেবা দলিল কি বাতিল করা যায়
- হেবা দলিল খরচ কত
- লেখক এর মাতম
হেবা দলিল কি
হেবা দলিল কি ইসলামকি আইনে দানকে হেবা বলে।হেবা শব্দটির অর্থ দান করা।হেবা বা দান হলো এক ব্যাক্তি কর্তৃক অপর ব্যক্তিকে কোন বিনিময় মূল্য ছাড়াই অনতিবিলম্বে সম্পত্তি হস্থান্তর করাকে হেবা বলে।সম্পত্তি হস্থান্তর আইনের ১২২ ধারায় হেবা বা দান সম্পর্কে বিশদভাবে বর্ণনা করাহয়েছে।
আরো পড়ুন : পুরাতন দলিল এর লেখা বোঝার উপায় যেনে নিন
এই ধারার বিধান অনুযাই কোন ব্যাক্তি তার সম্পত্তি স্বেচ্ছাই অপর ব্যাক্তি কে হস্থান্তর করলে এবং সে ব্যাক্তি স্বেচ্ছাই সম্পত্তি গ্রহন করলে তাকে হেবা বা দান বলে।তবে ইসলামিক আইন মতে কোন ব্যাক্তি স্বেচ্ছাই হেবা বা দান করতে চাইলে তাকে সাবালক ও সুস্থ মস্তিষ্কের হতে হবে।
কে কাকে হেবা করতে পারে?
হেবা কে কাকে করতে পারে যেমন-বাবা তার ছেলে কে হেবা করতে পারে,ছেলে তার বাবা কে হেবা করতে পারে,মা তার ছেলে কে হেবা করতে পারে,ছেলে তার মাকে হেবা করতে পারে,ভাই বোন কে হেবা করতে পারে
আরো পড়ুন : নাম দিয়ে জমির দলিল অনুসন্ধান করুন সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে
বোন ভাইকে হেবা করতে পারে,দাদা নাতি ও নাতনী কে হেবা করতে পারে,নাতি ও নাতনি দাদা কে হেবা করতে পারে,স্বামী স্ত্রী কে হেবা করতে পারে,স্ত্রী স্বামিকে হেবা করতে পারে।হেবা দলিল টি রক্তের সর্ম্পকের ভিতরে হতে হবে।
দান করার যোগ্য ব্যক্তি
সুস্থ মস্তিষ্ক এবং সাবালক প্রত্যেক মুসলমান ব্যক্তি হেবা বা দান করতে পারে।বিকৃত মস্তিষ্ক মাতাল বা পাগল ব্যক্তির দান বৈধ হবে না।আবার নাবালকের দান গ্রহণযোগ্য হবে না।কোন ব্যক্তির ১৮ বছর পূর্ণ হলেই তাকে সাবালক বলে গণ্য করা হয়।
আরো পড়ুন : দলিলে দাগ ভুল হলে করণীয়-কিভাবে দলিল সংশোধন করবেন
হেবা বা দান করার মত দান গ্রহণের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম অর্থাৎ যেকোনো ব্যক্তির বরাবরে হেবা বা দান করা যায় তবে নাবালক বা উন্মাদের ক্ষেত্রে এ দান গ্রহণ তাদের আইনগত অভিভাবকের উপর বর্তায় ইসলামিক আ্ইন অনুযায়ী পিতাই নাবালক বা উন্মাদের আইনগত অভিভাবক।
অজাত ব্যক্তির বরাবরে দান
আজাদ ব্যক্তি অর্থাৎ যে সন্তান এখনো জন্ম গ্রহণ করেনি এমন সন্তানের বরাবরে হেবা বা দান একেবারেই অশুদ্ধ।কারণ একটি বৈধদানের শর্ত হলো দানকৃত সন্তানটি এখনো জন্মগ্রহণ করেনি তার বরাবরের দখল হস্তান্তর সম্ভব নয়।সে কারণে অজাদ ব্যক্তির বরাবরে দান অকার্যকর।
বৈধ দানের আবশ্যকীয় শর্তাবলী
একটি দান বৈধ বা আইন সংগত হওয়ার জন্য আবশ্যকীয় শর্ত সমূহ হলো এই যে-দাতা কর্তৃক হেবা মূলে দানের কথা স্পষ্ট ও পরিষ্কারভাবে ঘোষিত হতে হবে।গ্রহিতা কর্তিক দাতা প্রদত্ত উক্ত রূপ হেবা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে স্বীকৃতি বা অনুমোদিত হতে হবে।
দখল প্রদান
বৈধ হেবা সম্পাদনের একটি উল্লেখযোগ্য শর্ত হলো হেবাদাতা দানকৃত সম্পত্তিতিটি গ্রহীতাকে সঙ্গে সঙ্গে দখল প্রধান এবং গ্রহীতা বা তার পক্ষে অন্য কারো তাতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দখল গ্রহণ করা।দখলপ্রদান বা গ্রহণ ছাড়া কোন হেবা বৈধ হবে না।তা রেজিস্ট্রেশন করা হলেও দখলের প্রয়োজন অটুট থাকবে।
স্বেচ্ছায় বা বিনাপনে
দানে কোন পণ নাই।পন থাকলে তা বিক্রয় হয় নতুবা বিনিময় হয়।দানের মূল কথা হলো এটি বিনামূল্যে হস্তান্তর করতে হবে।যে দান কোন প্রকারপ্রতিধান ছারা করা হয় তাকে হেবা বলে।
দাতা
যিনি দান করবেন তিনি দাতা।যে কোন সাবালক স্বাধীন সুষ্ঠমনা এবং সক্ষম ব্যক্তি তার নিজ সম্পত্তি দান করতে পারেন।দানগ্রহীতা
দান গ্রহীতা সে ব্যক্তি যিনি দান গ্রহণ করেন।তাকে অবশ্যই দান গ্রহণের সময় জীবিত থাকতে হবে।সনাক্ত যোগ্য ব্যক্তি হতে হবে।জনসাধারণ দান গ্রহিতা হতে পারবে না।দানের বিষয়বস্তু
দানের বিষয়বস্তুকে অবশ্যই কোন না কোন স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি হতে হবে।একটি জমি দ্রব্য সামগ্রী এবং নালিশ যোগ্য দাবি বা সম্পত্তি যেমন বীমা পলিসি হবে।এটি সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের ৬ ধারা মোতাবেক হস্তান্তর যোগ্য হতে হবে। এটি কোন ভবিষ্যৎ সম্পত্তি হতে পারবে না।
দাতা কর্তিক্য দান সম্পর্কে ঘোষণা
দাতাকে অবশ্যই তার দান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ঘোষণা দিতে হবে।এরূপ ঘোষণাকালে তাকে কোনরূপ আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হয় না। শুধুমাত্র দাতার ঘোষণার মাধ্যমে এটি স্পষ্ট হতে হবে।যে সে বিনা প্ররোচনায় স্বেচ্ছায় প্রণোদিত হয়ে আন্তরিকভাবে দখল হস্তার সংশ্লিষ্ট সম্পত্তিটি দানমুলে করতে আগ্রহী বা ইচ্ছুক।
দানকৃত সম্পত্তির অস্তিত্ব
দানকার্য সম্পন্ন হওয়ার সময় অবশ্যই ধানের বিষয়বস্তুর অস্তিত্ব থাকতে হবে।স্থাবর এবং অস্থাবর যেকোনো সম্পত্তি দান করা যায়।তবে দান করার সময় যে সম্পত্তির অস্তিত্ব নেই তা দান করা যায় না। কারণ তা বৈধ হবে না।
দান গ্রহণ
দান গ্রহণ প্রকাশে হতে পারে আবার নাও হতে পারে।একটি দান গ্রহনকারী যে মুসলমান হতে হবে এমন কোন বাধা ধরা নিয়ম নাই।যে কোন বয়সের নারী পুরুষ জাতি ধর্ম নির্বিশেষে প্রত্যেককে দান গ্রহণ করার যোগ্য।
স্বেচ্ছা প্রণোদিত
বৈধদানের অন্যতম উপাদান হলো ধান কার্যটি অবশ্যই স্বেচ্ছামূলক হতে হবে।হেবা দলিল কি,জোর করে সম্পত্তি নিলে এটা দান হবে না।জিমি দাতাকে সম্পত্তি স্বেচ্ছাই দান করতে হবে।
দখল হস্তান্তর
মুসলিম আইন অনুযায়ী বৈধদানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো দখল হস্তান্তর।অর্থাৎ দাতা দানকৃত সম্পত্তিকে দান গ্রহীতার বরাবরে সঙ্গে সঙ্গে দখল প্রধান করবে আর অন্যদিকে গ্রহীতা এটি গ্রহণ করবে।
মালিকানা
দাদাকে দানের বিষয়বস্তুর বৈধ মালিক হতে হবে।দানকৃত বিষয় স্থাবর বা অস্থাবর হতে পারে। তবে এটি কোন ভবিষ্যৎ সম্পত্তি হতে পারবে না।
রেজিস্ট্রেশন
মুসলিম আইনে দান মৌখিক বা লিখিত যেকোন ভাবে সম্পন্ন করা যেতে পারে।তবে সকল ক্ষেত্রে হতে হবে এমন কোন নিয়ম নাই।সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের ১২৩ ধারায় বলা হয়েছে কোন স্থাবর সম্পত্তির অবশ্যই দুজন সাক্ষী দ্বারা সনাক্ত করে দাতার সহী সাপেক্ষে রেজিস্ট্রিকৃত দলিলের মাধ্যমে কার্যকরী করতে হবে।
হেবা দলিল কি খারিজ করা যায়
হেবা দলিল কি খারিজ করা যায়!আপনি যদি হেবা দলিল মুলে সম্পত্তি পান তহলে,আপনার নামে হেবা দলিল রেজিষ্ট্রি হওয়ার পরে আপনি হেবা দলিল দিয়ে নাম জারি করে নিবেন।আপনি হেবা দলিল দিয়ে নামজারি করতে পারবেন।আশা করি হেবা দলিল কি খারিজ করা যায় কি না এটা নিয়ে আপনাদের আর কোন প্রশ্ন থাকবে না।
হেবা দলিল কি বাতিল করা যায়
হেবা দলিল কি বাতিল করা যায়!হেবা দলিল আইন অনুযাই যদি রেজিষ্ট্রি হয়ে থাকে তাহলে হেবা দলিল বাতিল করা যায় না।আরো জেনে রিাখুন দলিল এর রেজিষ্ট্রি আিইন অনুযাই যদি দলিল রেজিষ্ট্রি হয়ে থাকে তাহলে দলিল বাতিল করা যায় না।আশা করি হেবা দলিল কি বাতিল করা যায় িএটা নিয়ে আপনাদের আর কোন প্রশ্ন থাকবে না।
হেবা দলিল খরচ কত
হেবা দলিল এর রেজিষ্ট্রি খরচ জানতে চাইলে এই পোষ্টটি পরুন হেবা দলিল এর রেজিষ্ট্রি খরচ দেওয়া আছে জানতে পারবেন।
লেখক এর মাতম
আমি(শামিম মোক্তার)শ্রীপুর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখক শ্রীপুর,গাজিপুর।হেবা দলিল কি?হেবা কে কাকে করতে পারে এগুলো নিয়ে যদি আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।এই পোষ্টটি যদি আপনারা মনোযোগ দিয়ে পরে থাকনে তাহলে হেবা দলিল কি,কে কাকে হেবা করতে পারবেন এ গুলো নিয়ে আপনাদের প্রশ্ন থাকবে না।
হেবা সম্পত্তি বিক্রি করা যায় কিনা
যার কাছে বিক্রি করা হয় তাকে তো
সাফ কবলা করে দেয়া যায় তো
আসসালামুয়ালিকুম
হেবা সম্পত্তি বিত্রিু করা যায় সাব কবলা দলিল করার যায়
হেবা দলিল নামজারি করার পর কোনো শত্রু যদি নামজারি কেটে দিতে চাই তাহলে এই রকম কোনো নিয়ম আছে কি না ???
আপনার হেবা দলিল সঠিক হলে,নাম জারি বাতিল হবে না