cs sa rs খতিয়ানের কলামের বর্ণনা
cs sa rs খতিয়ার নিয়ে আরোচনা করবো আজকে আমি আপনাদের সাথে।cs sa rs খতিয়োরেন কলামে ভিবিন্ন জায়গাতে ভিবিন্ন কিছু লেখা থাকে খতিয়ান চিনার জন্য।
পোস্টসূচীপত্র:cs sa rs খতিয়ান চিনা সকলেই প্রয়োজন আজকে আমি আপনাদের সাথে আরোচনা করবো cs sa rs খতিয়ান কিভাবে চিন বেন।
জেলা
cs,sa,rs সব খতিয়ান ফরমের উপরের বামপার্শ্বে জেলার নাম উল্লেখ থাকে।
উপজেলা/থানা
সি এস,এস এ,আর এস খতিয়ানের উপরের বামপার্শ্বে জেলা লেখার পরেই থানা বা উপজেলা লিখা থাকে।একটি জেলাতে একাধিক থানা থাকে।
মৌজা
প্রতিটি cs,sa,rs খতিয়ান ফরমের উপর মৌজার নাম লেখা আছে।মৌজা হচ্ছে ভূমি ব্যবস্থাপনা ও জরিপের একটি ইউনিট।ভূমি সংক্রান্ত কাজে মৌজার নামের ব্যবহার সর্বাধিক।
জে, এল, নং
প্রতিটি মৌজার ক্রমিক নম্বর থাকে তা হল জে. এল নং ( Jurisdiction List number)।প্রতিটি মৌজার পৃথক জে, এল নং দেয়া থাকে।কেননা একই নামের একাধিক মৌজা থাকতে পারে।ফলে মৌজার পরিচিতিতে যাতে কোন প্রকার বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয় সেজন্য থানাভিত্তিক মৌজা গুলিকে ক্রমিক অনুযায়ী জে, এল নম্বর দেয়া হয়।
রেঃ সাঃ নং
এর অর্থ হল রেভিনিউ সার্কেল নম্বর ( Revenue Circle Number)।সি, এস জরিপের পূর্বে জমিদারদের জমিদারি আয়তন নির্ধারণের জন্য ১৮৪৭-১৮৭৮ সন পর্যন্ত ৪ ইঞ্চি সমান ১ মাইল স্কেলে যে রাজস্ব জরিপের ব্যবস্থা করা হয়েছিল তার পরিচিতি মূলক নাম্বার হচ্ছে রেঃ সাঃ নং।বর্তমানে এর ব্যবহার নাই।তবে সি. এস খতিয়ানে এর ব্যবহার রয়েছে।
১ নং কলাম (প্রজার নাম ও ঠিকানা)
এই কলামে ভূমি মালিকের নাম ও ঠিকানা লিপিবদ্ধ হয়।মালিক গণের নামের পূর্বে দং (দং অর্থ দখলকার) লিখা থাকে।অত্র ৮৭১ নং খতিয়ানে ৬ জনের নাম দুইটি গ্রুপ লাইনে লিপিবদ্ধ আছে।গ্রুপ লাইনের ১ম ব্যক্তির কোন নির্দিষ্ট দাগের মোট ভূমির আংশিক দখল থাকলে মন্তব্য কলামে নাম লিখে হিস্যা লিখতে হয়।যৌথ থাকিলে এজমালী লিখতে হয়।
আরো পড়ুন : cs খতিয়ান কি?সি এস খতিয়ান চেনার উপায়
অন্য কোন ব্যক্তি যদি কোন নির্দিষ্ট দাগে জোর দখল থাকে তাহলে মন্তব্য কলামে জোর দখলও বাংলা সন উল্লেখসহ দখলকারদের নাম লিখতে হয়।কোন ব্যক্তি ঠিকানা নিজ মৌজা হলে সাং (সাং অর্থ সাকিন) নিজ লিখতে হয়।কারো ঠিকানা যদি অত্র মৌজার বাইরে হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সাং নির্দিষ্ট উল্লেখ করে লিখতে হয়। যেমন: সাহাবুদ্দিনের সাং পাইটি।
২ নং কলাম (অংশ)
অত্র কলামে সংশ্লিষ্ট খতিয়ানে একাধিক মালিক আছে বিধায় ভূমির হিস্যা কে কতটুকু পাবে তা উল্লেখ করা হয়।যেমন ৮৭১ নং খতিয়ানে মোট ভূমি ১ একর ৯৯ শতাংশ ৪০ অযুতাংশ।সহজে হিস্যা অংশ বের করার পদ্ধতি
৮৭১ নং খতিয়ানে হিস্যা মোতাবেক ধরি ৬ জন ভূমি মালিক এর মধ্যে কে কতটুকু ভূমির মালিক।৩২৮,৩৮৮ নং দাগে কতটুকু ভূমির মালিক দখলকার তা ৯ নং দাগের ভূমির মধ্যে কে কতটুকু ভূমির তা বর্ণিত না থাকায় সংশ্লিষ্ট ভূমি মালিকগণকে ভাগ বাটোয়ারা করে নিতে হবে।
৩ নং কলাম (রাজস্ব)
এই কলামে রাজস্ব বা ভূমি উন্নয়ন করের পরিমাণ লিখা থাকে।তবে বর্তমানে ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারিত হয় ১৯৭৬ সনের ভূমি উন্নয়ন কর অধ্যাদেশ মোতাবেক।জরিপ বিভাগ মাঠ জরিপ চলাকালে মূল বালাম/খতিয়ান বহির অত্র কলামে সাবেক দাগ নম্বর লিখে থাকেন।
৪ নং কলাম (দাগ নম্বর)
এই কলামে মৌজা নকশার দাগ নম্বর দেয়া হয়। খতিয়ানে নকশার দাগ নম্বর হচ্ছে ৩২৮, ৩৪২, ৩৫২, ৩৮৮, ৩৯৫ দেয়া আছে। প্রত্যেক খতিয়ানে দাগ নাম্বার থাকা আবশ্যক।অন্যথায় খতিয়ানের মূল্য থাকে না।
৫ নং কলাম (জমির শ্রেণী)
অত্র কলামে জমির শ্রেণী উল্লেখ আছে।জমির শ্রেণীর উপর ভূমি উন্নয়ন কর ও সরকারী রেজিস্ট্রি ফি ও কর নির্ধারিত হয়।কলামটি কৃষি ও অকৃষি জমিতে বিভক্ত রয়েছে। ৮৭১ নং খতিয়ানের ৩২৮ নং দাগের ভূমি বাড়ি এবং ৩৮৮ নং দাগের ভূমি বাগান শ্রেণীভুক্ত রয়েছে।পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন এলাকার জমির শ্রেণী অকৃষি ৫ (খ) কলামে লিখতে হয়।
৬ নং কলাম (দাগের মোট পরিমাণ)
অত্র কলামে একর ও শতাংশ নামে ২ টি ভাগ রয়েছে।কোন দাগের অংশ বিশেষ যদি অত্র খতিয়ানে থাকে তবে এ কলামটি পূর্ণ করা হয়।
যেমন: ৩৮৮ নং দাগের মোট ভূমি ৯০০০ অযুতাংশ।৩৮৮ নং দাগের আংশিক ৩৬০০ অযুতাংশ ভূমি ও খতিয়ানে লিপিবদ্ধ হইয়াছে বিধায় ৩৮৮ নং দাগের জন্য খতিয়ানের ৬ নং কলামের মধ্যে ৯০০০ অযুতাংশ ভূমি লিখা হয়েছে।
আরো পড়ুন : sa খতিয়ান কি?এস এ খতিয়ান ইতিহাস
৩২৮ নং দাগের সম্পূর্ণ ভুমি খতিয়ানে লিপিবদ্ধ হইয়াছে বলে ৬ নং কলাম পূরণ
করতে হয় না অর্থাৎ কোন খতিয়ানে যদি কোন দাগের আংশিক ভূমি রেকর্ড করা
হয়,তবে ঐ দাগের মোট ভূমি পরিমাণ কলামে লিপিবদ্ধ থাকবে। অন্যথায়
কলাম খালি থাকবে।
৭ নং কলাম (দাগের মধ্যে অত্র খতিয়ানের অংশ)
অত্র কলামটি ৬ নং কলামের সাথে সম্পর্কযুক্ত।এ কলামে কোন দাগের অংশ যদি ১.০০০ থাকে তাহলে ৬ নং কলাম উক্ত দাগের মোট জমির পরিমাণ উল্লেখ থাকবে।যেমন:খতিয়ানের ৩৮৮ নং দাগের ৬ নং কলামে মোট ভূমি ৯০০০ অযুতাংশ এবং ৭ নং কলামে ০.৪০০ হিস্যায় ৮ নং কলামে ৩৬০০ অযুতাংশ ভূমি লেখা হয়েছে।
৮ নং কলাম (অংসানুযায়ী জমির পরিমাণ)
অত্র কলামে ৬ ও ৭ নং কলামের আলোকে জমির পরিমাণ লেখা থাকে।তবে যে ক্ষেত্রে ৬ নং কলাম খালি থাকে সেক্ষেত্রে দাগের মোট জমির পরিমাণ ৮ নং কলামে লেখা থাকে।যেমন: খতিয়ানে ৫ টি দাগে মোট ভূমি ১ একর ৯৯৪০ অযুতাংশ।
৯ নং কলাম (দখল বিষয়ক বা অন্যান্য বিশেষ মন্তব্য)
এই কলামে বিভিন্ন মন্তব্য থাকে।বিভিন্ন দখল ও মন্তব্য বিষয়ক তথ্যাদি বিদ্যমান থাকে।যেমন: টিন/২, ঘর/৩,এজমালী, জোর দখল ইত্যাদি।খতিয়ানের ৩৯৫ নং দাগটি জোর দখলকারদের নাম লিখা হয়েছে এবং ৩৪২ ও ৩৫২ নং দাগটি এজমালী হিসেবে রেকর্ডভুক্ত হয়েছে।
লেখক এর মতামত
আমি (শামিম মোক্তার) শ্রীপুর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখক শ্রীপুর,গাজিপুর।cs sa rs খতিয়ানের কলামের বর্ণনা নিয়ে যদি আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
cs
কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ,ভাই
সিটি এস খতিয়ান চাই
সি এস খতিয়ান রের্কড রুম থেকে তুলে নেন
আবদুল হক
সিএস খতিয়ানে জোত বলতে কি বুঝানো হয়েছে?
সিএস খতিয়ানে জোতের কলামে যার নাম লেখা থাকে সে বা তার ওয়ারিশান সম্পত্তির মালিক?
না-কি দখলকারের কলামে যাদের নাম লেখা থাকে তারা বা তাদের ওয়ারিশান সম্পত্তির মালিক?
এই তিনটি বিষয় আলাদা আলাদা করে জানালে খুব উপকৃত হতাম
ধন্যবাদ।