বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন কি ভাবে করবেন

আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করবো বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন এবং বিকাশ এজেন্ট এর সুবিধা গুলো নিয়ে।বর্তমান সময়ে অনেকে বিকাশ এজেন্ট এর ব্যাবশা করে লভবান হচ্ছে।বিকাশ এজেন্ট একটি সহজ ব্যবাবসা এতে প্রচুর পরিমান অর্থ লাভ করা যাই।

বিকাশ-এজেন্ট-রেজিস্ট্রেশন

আপনি যদি বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে চান তাহলে আপনাকে কিছু নিয়ম কানন মানতে হবে তার পার আপনি বিকাশ এর একজন এজেন্ট হতে পারবেন।

পোস্টসূচীপত্র:বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন কি ভাবে করবেন

বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন

বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হলে আপনাকে কিছু ধাপ সমূহ অনুসরন করতে হবে তা হল:

১)বিকাশের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে "এজেন্ট" ট্যাবে ক্লিক করুন বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন করার জন্য।২)বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন করার জন্য "এজেন্ট হওয়ার জন্য আবেদন করুন"।
৩)বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ফর্মটি পূরণ করুন।
৪)বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন করার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি এবং আপনার ব্যবসায়িক স্থানের একটি ছবি আপলোড করুন।
৫)বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আবেদন জমা দিন।

আরো পড়ুন : বিকাশ এর যে কোন সমস্যার বিকাশ লাইভ চ্যাট করে সমাধান করুন

বিকাশ আপনার আবেদন গ্রহন করলে বিকাশ প্রতিনিদি আপনার সাথে যািগাযোগ করবে এবং আপনার কাছ থেকে অতিরিক্ত তথ্য নিবে।

বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আপনাকে প্রয়োজনিয় কিছু তথ্য দিতে হবে তাহল:নাম,পিতার নাম,মাতার নাম,জন্ম তারিখ,জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর,বর্তমান ঠিকানা,ব্যবসায়িক স্থানের ঠিকানা,ব্যবসায়িক কার্যক্রমের ধরন,মোবাইল ফোন নম্বর,ইমেল ঠিকানা আপনার এ তথ্য গুলো দিতে হবে বিকাশ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন করার জন্য।

বিকাশ এজেন্ট সিম নেওয়ার নিয়ম

আপনি যদি বিকাশ এজেন্ট এ  রেজিস্ট্রেশন করতে চান তাহলে আপনাকে বিকাশ এজেন্ট সিম নিতে হবে।বিকাশ এজেন্ট সিম নেওয়ার জন্য আপনাকে এই তথ্য গুলো দিতে হবে নাম,পিতার নাম,মাতার নাম,জন্ম তারিখ,জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর,বর্তমান ঠিকানা,ব্যবসায়িক স্থানের ঠিকানা,ব্যবসায়িক কার্যক্রমের ধরন,মোবাইল ফোন নম্বর

আরো পড়ুন : অনলাইন জন্ম নিবন্ধন তথ্য যাচাই করে নিন আপনার মোবাইল দিয়ে

ইমেল ঠিকানা এই তথ্য গুলো দেওয়ার পরে বিকাশ প্রতিনিদি আপনার সাথে যোগাযোগ করবে।বিকাশ এজেন্ট সিম নেওয়ার জন্য বিকাশের নির্দিষ্ট কোনও ফি দিতে হয় না তবে বিকাশ এজেন্ট হিসাবে কাজ করার জন্য আপনাকে লেনদেনের উপর কমিশন দিতে হবে।

বিকাশ এজেন্ট সিম নেওয়ার জন্য আপনি এই ধাপগুলো অনুসরন করবেন:
১)বিকাশের ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে পারেন।
২)বিকাশের যেকোনো এজেন্টের দোকানে গিয়ে আবেদন করতে পারেন।
৩)বিকাশের কল সেন্টারে ফোন করে আবেদন করতে পারেন।তবে বিকাশ এজেন্ট সিম নেওয়ার জন্য অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে এবং আপনার বয়স ১৮ বছর হতে হবে।এই গুলো হচ্ছে বিকাশ এজেন্ট সিম নেওয়ার নিয়ম।

বিকাশ এজেন্ট এর সুবিধা

আপনি যদি বিকাশ এজেন্ট হন আপনি বিকাশ এর অনেক সুবিধা উপবোগ করতে পারবেন।তাহল: 
১)বিকাশ এজেন্ট এর সুবিধা মধ্যে একটি হচ্ছে আয়ের সুযোগ আপনি বিকাশ এজেন্ট হিসাবে,আপনি কবকাশ থেকে ভিবিন্ন ধরনের লেনদেন থেকে কমিশন পাবেন এবং আপনি বিকাশের বিভিন্ন প্রোডাক্ট এবং সার্ভিস বিক্রি করে বিকাশ থেকেআয় করতে পারবেন।
২)বিকাশ এজেন্ট এর সুবিধা মধ্যে আরেক টি হচ্ছে ব্যবসায়িক সুবিধা আপনি বিকাশ এজেন্ট এর মাধ্যমে আপনার ব্যাবসার পরিদি বারাতে পারবেন এবং বিকাশের মাধ্যমে আপনি নতুন গ্রহক পেতে পারেন।
৩) প্রযুক্তিগত সহায়তা আপনি বিকাশ এজেন্ট এর সুবিধা ব্যাবহার করে আপনি প্রযক্তি গত সহায়তা পাবেন।
৪)বিকাশ এজেন্ট এর সুবিধা সামাজিক মর্যাদা,বিকাশ এজেন্ট এর সুবিধা মাধ্যমে আপনি সামাজিন মর্যাদা পাবেন।বিশেষ করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য বিকাশ এজেন্ট হওয়া একটি ভালো সুযোগ এতে করে বিকাশ এজেন্ট এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র ব্যাবসাইরা লাভ বান হতে পারে।

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে

আপনি যদি বিকাশ একাইন্ট খুরতে চান তাহলে আপনাকে বিকাশ অফিসে যোগাযোগ করতে হবে বা বিকাশ ওয়েব সাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে।বিকাশ একাউন্ট খুলতে কোন টাকা পয়সা লাগবে না,বিকাশ একাউন্ট এক দম ফ্রি তে খুলা হয়।

বিকাশ এজেন্ট অ্যাপ

বিকাশ এজেন্ট অ্যাপ হলো একটি মোবাইল অ্যাপ যা বিকাশের সেবা প্রদান এবং পরিচাল না করে থাকে অ্যাপ এর মাধ্যমে।
১) বিকাশ এজেন্ট অ্যাপ এর মাধ্যমে আপনি লেনদেন পরিচালনা করতে পারবেন।
২)বিকাশ এজেন্ট অ্যাপ এর মাধ্যমে আপনি গ্রাহক পরিষেবা প্রদান করতে পারবেন।
৩)বিকাশ এজেন্ট অ্যাপ এর মাধ্যমে আপনি প্রশিক্ষণ এবং সহায়তা করতে পারবেন।বিকাশ এজেন্ট অ্যাপ আপনি Google বা বিকাশ ওয়েব সাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।

বিকাশ এজেন্ট টু এজেন্ট

বিকাশ এজেন্ট টু এজেন্ট লেনদেন করা হল এক বিকাশ অ্যাপ থেকে অন্যা বিকাশ অ্যাপ এ টাকা পাঠানো যা বিকাশ অ্যাপ এর মাধ্যমে করা হয়।বিকাশ এজেন্ট টু এজেন্ট এর লেন দেন চার্জ হল:লেনদেনের পরিমাণ 1,000 টাকার কম হলে চার্জ 2% ও1,000 টাকা থেকে 5,000 টাকার মধ্যে হলে চার্জ 1.5% এবং 5,000 টাকার বেশি হলে চার্জ 1% কেটে নেওয়া হয় বিকাশ এজেন্ট টু এজেন্ট লেনদেন করার সময়।

বিকাশ স্টার এজেন্ট

বিকাশ স্টার এজেন্ট দের জন্য রয়েছে বিশেষ সোগোজ সুবিদা।বিকাশ স্টার এজেন্ট হলো বিকাশ সেরা এজেন্ট দের একটি তালিকা।বিকাশ স্টার এজেন্ট এর তালিকাটি তৈরি করা হয় বিকাশের নিয়ম নিতী ও র্নিদেশনা বলি মেনে চলার কারনে।বিকাশ স্টার এজেন্টদের জন্য রয়েছে অনেক সুবিধা ও সুযোগ-সুবিধা তার মধ্যে হল: 

আরো পড়ুন : অনলাইনে টিন সার্টিফিকেট কিভাবে তৈরি করবেন যেনে নিন

বিকাশ এজেন্ট কমিশন

এজেন্ট টু এজন্ট বিকাশ এজেন্ট কমিশন হল বিকাশ লেদেন এর পরিমানের উপর ভিত্তি করে।

১)বিকাশ এজেন্ট কমিশন লেনদেনের পরিমাণ 1,000 টাকার কম হলে কমিশন 2%, ও1,000 টাকা থেকে 5,000 টাকার মধ্যে হলে কমিশন 1.5% এবং 5,000 টাকার বেশি হলে কমিশন 1% বিকাশ এজেন্ট কমিশন নিয়ে থাকে।

আরো পড়ুন : জন্ম সনদ করতে কি কি কাগজ পত্র লাগে

২)বিকাশ এজেন্ট কমিশন বিল পেমেন্টের জন্য কমিশন হলো প্রতি হাজারে ১.৫০ টাকা।৩)ই-কমার্স পেমেন্টের জন্য বিকাশ এজেন্ট কমিশন হলো প্রতি হাজারে ১.৫০ টাকা।বিকাশ এজেন্ট কমিশন লেনদেন এর উপর ভিত্তি করে বিকাশ এজেন্ট লেনদেন যত বেশি হবে কমিশনের পরিমান ও তত বেশি হবে।

পার্সোনাল বিকাশ দিয়ে ব্যবসা

আপনি চাইলে পার্সোনাল বিকাশ দিয়ে ব্যবসা করতে পারবেন পার্সোনাল বিকাশ দিয়ে ব্যবসা করতে কিছু সিমা বদ্ধ তা রয়েছে তাহল আপনি প্রতি দিন পার্সোনাল বিকাশ দিয়ে ৩০,০০০/=(টাকা)লেনদেন করতে পারবেন এর বেশিকরতে পারবেন না।

লেখক এর মতামত

বিকাশ এজেন্ট ব্যাবশা এক টি লাভ জনক ব্যাবশা যা বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় একটি ব্যাবশাযিারা বিকাশ এজেন্ট এর ব্যাবশা করবেন তারা সততার সাথে ব্যাবশা করবেন অনেক লাভবোন হতে পারবেন এবং সততার সাথে ব্যাবসা করলে অনেক দূর যেতে পারবেন।বিকাশ এজেন্ট নিয়ে আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url