গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় যেনে নিন

বর্তমান সময়ে অনলাইন আয়ের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় পদ্ধতি হলো গুগল এডসেন্স।আপনি যদি একটি ব্লগ,ওয়েবসাইট,ইউটিউব চ্যানেল বা অ্যাপস চালান,তাহলে গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে আয়ের করতে পারবেন।

গুগল-এডসেন্স-থেকে-আয়-করার-উপায়

এই প্ল্যাটফর্মটি মূলত বিজ্ঞাপন প্রকাশ করার মাধ্যমে ওয়েবসাইটের মালিকদের টাক উপার্জন করতে পারে।নিচেবিস্তারিত আলোচনা করা হলো গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে।

পোস্টসূচীপত্র: গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় যেনে নিন

গুগল এডসেন্স কি?

গুগল এডসেন্স একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশ করার প্ল্যাটফর্ম,যা গুগল দ্বারা পরিচালিত হয়।এটি আপনার ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেখায় এবং যখন ব্যবহারকারীরা সেই বিজ্ঞাপনে ক্লিক করেন,তখন আপনি অর্থ উপার্জন করেন।এটি আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটরদের প্রাসঙ্গিক বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে,যার মাধ্যমে ওয়েবসাইটের ট্রাফিক অনুযায়ী আপনি আয় করতে পারেন।

গুগল এডসেন্স দিয়ে আয় করার উপায়সমূহ

গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।নিচে আয়ের কিছু কার্যকর উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

adsense পাওয়ার জন্য মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করা

গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আয় করতে হলে আপনার ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলের জন্য মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করতে হবে।আপনার কনটেন্ট যত ভালো হবে,ততই বেশি ভিজিটর আপনার সাইটে আসবে এবং বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবে। ভালো মানের কনটেন্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে তাহলে আপনি গুগল এডসেন্স থেকে আয় করতে পারবেন:

মূল্যবান তথ্য দিতে হবে

কনটেন্ট ব্যবহারকারীদের জন্যে উপকারে আসে এবং তথ্যবহুল হতে হবে।কেবলমাত্র সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাংক করার জন্য নয়,ব্যবহারকারীর চাহিদা অনুযায়ী তথ্য প্রদান করা করতে হবে।

ইউনিক এবং অরিজিনাল কনটেন্ট হতে হবে

কপি-পেস্ট করা কনটেন্ট এড়িয়ে চলতে হবে।গুগল ইউনিক কনটেন্ট পছন্দ করে এবং এটি আপনার ওয়েবসাইটের র‍্যাংকিং বাড়াতে সাহায্য করবে।

SEO অপটিমাইজেশন করতে হবে

আপনার কনটেন্ট এসইও ফ্রেন্ডলি হতে হবে,যাতে এটি সার্চ ইঞ্জিনে সহজে খুঁজে পাওয়া যায়।গুগল সঠিক কিওয়ার্ডের ভিত্তিতে কনটেন্টকে র‍্যাংক করে,তাই সঠিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।

ওয়েবসাইটের ডিজাইন ও ইউজার এক্সপেরিয়েন্স নিতে হবে

গুগল এডসেন্স থেকে সফলভাবে আয় করার জন্য একটি ভাল মানের ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ওয়েবসাইটের ডিজাইন আকর্ষণীয় এবং সহজ নেভিগেশনের হতে হবে।গুগল এমন সাইটগুলোকে প্রাধান্য দেয় যেগুলো দ্রুত লোড হয় এবং মোবাইলসহ সকল ডিভাইসে সঠিকভাবে কাজ করে।এজন্য আপনার সাইটকে মোবাইল-ফ্রেন্ডলি করে তুলতে হবে এবং লোডিং টাইম কমিয়ে আতে হবে।এ গুলো গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় এর জন্য অনকে গুরুত্ত পূর্ণ।

আরো পড়ুন : নলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়

কিওয়ার্ড রিসার্চ

কিওয়ার্ড রিসার্চের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন ব্যবহারকারীরা গুগলে কোন ধরনের বিষয় খুঁজছেন।সঠিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করে আপনি গুগল সার্চের মাধ্যমে বেশি ট্রাফিক আনতে পারবেন।কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য আপনি বিভিন্ন টুল ব্যবহার করতে পারেন।
গুগল-এডসেন্স-থেকে-আয়-করার-উপায়
যেমন:

গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় বারানোর জন্য ট্রাফিক বাড়ানোর পদ্ধতি জানতে হবে

এডসেন্স একাউন্ট এর মাধ্যমে আয়ের মূল চাবিকাঠি হলো আপনার ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে বেশি ট্রাফিক আনা।আপনার ওয়েব সাইটে যত বেশি ট্রাফিক আসবে আপনার adsense থেকে তত বেশি ইনকাম হবে।নিচে কয়েকটি কার্যকারি উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল গুগল এডসেন্স থেকে বেশি আয় করার উপায় নিয়ে:

এসইও

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) এর মাধ্যমে আপনি সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে বেশি ভিজিটর আনতে পারবেন।এসইও প্রাক্টিস,যেমন:অন-পেজ এবং অফ-পেজ এসইও করতে হবে আপনার ওয়েব সাইট এর জন্য।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম,যেমন:ফেসবুক,টুইটার,লিঙ্কডইন,এবং ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে ট্রাফিক বাড়াতে পারবেন।আপনার কনটেন্টটিকে সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশি করে শেয়ার করুন।তাহলে আপনি বেশি ভিজিটর পাবেন।

ইমেইল মার্কেটিং

ইমেইল সাবস্ক্রাইবারদের নিয়মিত কনটেন্ট পাঠিয়ে ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে উৎসাহিত করতে পারেন।এত করে আপনার ওয়েব সাইটে ভিজিটর বাড়বে এবং আপনার ইনকাম ও বাড়বে।

ব্লগিং কমিউনিটি

অন্যান্য ব্লগ বা ওয়েবসাইটের সাথে যোগাযোগ করে এবং তাদের প্ল্যাটফর্মে আপনার কনটেন্ট শেয়ার করতে পারেন।এ তে করে আপনার ওয়েব সাইট এর ব্যাকলিংক তৈরি হবে।আপনার ওয়েব সাইট এর গেুরুত্ত বাড়বে গুগল এর কাছে।

গুগল এডসেন্সের বিজ্ঞাপন সঠিকভাবে বসান

গুগল এডসেন্সের বিজ্ঞাপন সঠিকভাবে স্থাপন করা বেশি টাকা অোয় করার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।বিজ্ঞাপন যদি সঠিক জায়গায় স্থাপন করা না হয়,তাহলে ব্যবহারকারীরা ক্লিক করবেন না এবং আয় কমে যাবে।বিজ্ঞাপন স্থাপন করার জন্য কয়েকটি কৌশল নিচে দেওয়া হলো:

প্রাসঙ্গিক স্থানে বিজ্ঞাপন বসান

বিজ্ঞাপনগুলি কনটেন্টের মধ্যে বা তার পাশে বসাতে হবে,যাতে ভিজিটরদের নজরে আসে।

বিজ্ঞাপনের সাইজ  নির্বাচন করুন

বিজ্ঞাপনের সাইজ ডিজাইন আপনার ওয়েবসাইটের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।ব্যবহারকারীদের বিরক্ত না করে আকর্ষণীয়ভাবে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে হবে।

ক্লিক-থ্রু রেট (CTR)

CTR বৃদ্ধির জন্য প্রাসঙ্গিক ও আকর্ষণীয় কনটেন্ট তৈরি করতে হবে এবং ব্যবহারকারীদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করতে হবে।

ইমপ্রেশন

আপনার বিজ্ঞাপনগুলো বেশি সংখ্যক ভিজিটরের কাছে পৌঁছানো উচিত, তা্ই আপনাকে নিয়মিত পোষ্ট করতে হবে।তাহলে আপনার পোষ্ট গুলোর ইমপ্রেশন বারবে।আপনি ভিজিটর ও বেশি পাবেন।

আরো পড়ুন : মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার সবচে সেরা ৫ টি উপায়যেনে নিন

গুগল এডসেন্স থেকে বেশি আয় করার কৌশল

adsense থেকে আয় বাড়ানোর জন্য কিছু বিশেষ কৌশল প্রয়োগ করতে হবে।নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল:

ওয়েব সাইট এ ক্লিকের হার বাড়ানো

ভিজিটরদের ক্লিক করার আগ্রহ বাড়াতে কনটেন্ট এবং বিজ্ঞাপনকে একত্রিত করতে হবে।তবে অবশ্যই গুগলের নীতিমালা অনুযায়ী কাজ করতে হবে,তা না হলে অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড হয়ে যাবে।

অ্যাড ব্লকের কথা মাথাই রাখা

অনেক ব্যবহারকারী অ্যাড ব্লক ব্যবহার করে,যার ফলে আপনার বিজ্ঞাপনগুলি দেখা যায় না।এজন্য অ্যাড ব্লক ব্যবহারের সমাধান করা।

ট্রাফিক র্সোচ

শুধুমাত্র সার্চ ইঞ্জিনের উপর নির্ভর না করে বিভিন্ন সোর্স থেকে ট্রাফিক আনার চেষ্টা করতে হবে।সোশ্যাল মিডিয়া,ইমেইল মার্কেটিং,রেফারেল এবং অন্যান্য মাধ্যম থেকে ট্রাফিক আনতে হবে।তাহলে আপনার এডসেন্স একাউন্ট ইনকাম বেশি আসবে।

এডসেন্স আয়ের চ্যালেঞ্জ ও সমাধান

গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে আয় করার সময় কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়।নিচে এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে:

  • এডসেন্স একাউন্ট অ্যাপ্রুভাল পাওয়া কঠিন তবে আপনাকে ধর্য দরতে হবে।
  • এডসেন্স একাউন্ট অ্যাপ্রুভ করতে অনেক সময় নেয়।
  • নির্দিষ্ট পরিমাণ ট্রাফিক থাকতে হবে তাহলে ভাল পরিমাণে আয় করতে পারবেন,আপনার ওয়েবসাইটে প্রতিদিন হাজার হাজার ভিজিটর আনতে হবে।
  • কন্টেন্ট নিয়মিত পোষ্ট করতে হবে নিয়মিত নতুন ও প্রাসঙ্গিক কনটেন্ট না থাকলে আপনার সাইটের র‍্যাংকিং কমে যেতে পারে।

কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব

গুগল এডসেন্স দিয়ে ওয়েবসাইট বা ব্লগ থেকে আয় করার একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি।এটি ব্যবহার করে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখাতে পারবেন এবং সেই বিজ্ঞাপন থেকে আয় করতে পারবেন।নিচে কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব বিস্তারিত দেখানো হল:

কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব

গুগল-এডসেন্স-থেকে-আয়-করার-উপায়

এডসেন্স একাউন্ট খুলার জন্য নিচের ধপ সমূহ গুলো অনুসরণ করিুন:

  • একটি Google অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে:প্রথমত আপনার একটি Google অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।যদি না থাকে,তাহলে একটি একটি Google অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিন।
  • গুগল এডসেন্স:Google AdSense-এর ওয়েবসাইটে যান
  • সাইন আপ করুন:"শুরু করুন" বাটনে ক্লিক করুন।
  • Google অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করুন:আপনার Google অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করুন।
  • সাইটের ইউআরএল দিন:আপনার ওয়েবসাইটের ইউআরএল দিন।
  • আবেদন জমা দিন:"AdSense ব্যবহার করুন" বাটনে ক্লিক করে আপনার আবেদন জমা দিন।

এডসেন্স একাউন্ট পাওয়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস

  • পর্যাপ্ত পরিমাণ কন্টেন্ট:আপনার ওয়েবসাইটে পর্যাপ্ত পরিমাণ কন্টেন্ট থাকতে হবে।
  • সঠিকভাবে ডিজাইন করা ওয়েবসাইট:আপনার ওয়েবসাইট সঠিকভাবে ডিজাইন করা এবং ইউজার ফেন্ডলি হতে হবে।
  • Google-এর নীতি মালা মেনে চলা:আপনার ওয়েবসাইটে Google-এর বিজ্ঞাপন নীতি মালা মেনে চলতে হবে

এডসেন্স একাউন্ট অনুমোদনের পর কি করবেন

  • বিজ্ঞাপন কোড:আপনি আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখাতে বিজ্ঞাপন কোড পাবেন।এই কোডটি আপনার ওয়েবসাইটের যেখানে বিজ্ঞাপন দেখাতে চান সেখানে যোগ করতে হবে।
  • আয়:আপনার বিজ্ঞাপন ক্লিক হলে এবং দেখা হলে আপনি আয় করতে পারবেন।
  • পেমেন্ট:100USD হলে আপনি পেমেন্ট পাবেন।

গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয়

গুগল অ্যাডসেন্স হল একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম যা আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ থেকে আয় করার সুযোগ দেয়।আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে এবং সেই বিজ্ঞাপনে ক্লিক হলে আপনি আয় করতে পারেন।গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করতে চাইলে আপনার ওয়েব সাইটে ভিজিটর থাকতে হবে।

এডসেন্স একাউন্ট কিভাবে কাজ করে?বিজ্ঞাপন

  • গুগল বিভিন্ন বিজ্ঞাপনদাতার কাছ থেকে বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করে।
  • প্লেসমেন্ট:আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা নির্ধারণ করা হয়।
  • ক্লিক এবং আয়:যখন কোনো দর্শক কোনো বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে,তখন আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পাবেন।

এডসেন্স একাউন্ট থেকে আয় বাড়ানোর উপায়:

  • উচ্চমানের কন্টেন্ট:আপনার ওয়েবসাইটে সর্বদা নতুন এবং উচ্চমানের কন্টেন্ট পোষ্ট করতে হবে।
  • ভিজিটর বারানো:বিভিন্ন মার্কেটিং কৌশলের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়াতে হবে।
  • বিজ্ঞাপনের অবস্থান:বিজ্ঞাপনগুলো এমন জায়গায় রাখুন যেখানে দর্শকদের নজর বেশি যায়।
  • বিজ্ঞাপনের ফরম্যাট:বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপনের ফরম্যাট পরীক্ষা করে দেখুন কোনটি আপনার জন্য ভালো কাজ করে।
  • মোবাইল-ফেন্টলি:আপনার ওয়েবসাইট মোবাইল-ফেন্টিলি হওয়া জরুরি।
  • গুগল অ্যানালিটিকস:আপনার ওয়েবসাইটের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করে প্রয়োজন অনুযায় পরিবর্তন করুন।

গুগল এডসেন্স একাউন্ট খোলার যোগ্যতা

  • একটি ওয়েবসাইট:আপনার নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে।
  • কন্টেন্ট:আপনার ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট থাকতে হবে।
  • গুগলের নীতিমালা:আপনার ওয়েবসাইটে গুগলের বিজ্ঞাপন নীতি মালা মেনে চলতে হবে।

গুগল অ্যাডসেন্সের সুবিধা

  • সহজ ব্যবহার:গুগল অ্যাডসেন্স ব্যবহার করা খুবই সহজ।
  • বিশ্বব্যাপী চলবে:আপনার বিজ্ঞাপন বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে দেখানো হতে পারে।
  • নিয়মিত পেমেন্ট:100USD হলে আপনি নিয়মিত পেমেন্ট পাবেন।

গুগল এডসেন্স পেমেন্ট

গুগল এডসেন্স পেমেন্ট এর মাধ্যমে আপনি যখন নির্দিষ্ট পরিমাণ আয় করেন,তখন গুগল আপনাকে সেই টাকা প্রদান করবে।এটিকে বলা হয় এডসেন্স পেমেন্ট।মিনিমাম 100USD হলে আপনি গুগল এডসেন্স পেমেন্ট নিতে পারবেন।

গুগল-এডসেন্স-থেকে-আয়-করার-উপায়

এডসেন্স একাউন্ট এর মেন্টের ধরন:

গুগল এডসেন্স সাধারণত নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে পেমেন্ট করে থাকে:
  • ইলেকট্রনিক ফান্ডস ট্রান্সফার (EFT):এটি সবচেয়ে সাধারণ পদ্ধতি।এই পদ্ধতিতে টাকা সরাসরি আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়।
  • চেক:গুগল চেকের মাধ্যমেও পেমেন্ট করে।

এডসেন্স একাউন্ট এর পেমেন্টের পরিমাণ এবং সময়:

  • পেমেন্ট থ্রেশহোল্ড:আপনার আয় 100USD হলে গুগল আপনাকে পেমেন্ট করবে।এই পরিমাণটি আপনার দেশ এবং পেমেন্ট পদ্ধতির উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।
  • পেমেন্টের সময়:সাধারণত মাসে একবার পেমেন্ট হয়।প্রতি মাসের ২১ তোরিখে গুগল এডসেন্স পেমেন্ট করে থাকে।

এডসেন্স একাউন্ট  সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

  • ট্যাক্স:আপনার ইউটিব খেকে আয়ের উপর নির্ভকরে আপনাকে ট্যাক্স দিতে হতে পারে।
  • পেমেন্টের সমস্যা:যদি আপনার পেমেন্টে কোনো সমস্যা হয়,তাহলে আপনি গুগল এডসেন্সের সাহায্য কেন্দ্রে যোগাযোগ করতে পারেন।
  • পেমেন্ট পদ্ধতি পরিবর্তন:আপনি যেকোন সময় আপনার পেমেন্ট পদ্ধতি পরিবর্তন করতে পারবেন।

গুগল এডসেন্স ইউটিউব

গুগল এডসেন্স হল একটি বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক,যার মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করতে পারেন।আর ইউটিউব হল একটি ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম।এই দুইটিকে একসঙ্গে ব্যবহার করে ইউটিউব ক্রিয়েটররা তাদের ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করতে পারেন।

আরো পড়ুন : ফ্রিল্যান্সিং এর গুরুত্ব এবং ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে বিস্তারিত যেনে নিন

গুগল এডসেন্স ইউটিউব কীভাবে এটা কাজ করে?

  • ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন:যখন আপনার ইউটিউব চ্যানেল নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ হবে,তখন আপনি আপনার চ্যানেলকে মনিটাইজ করার জন্য আবেদন করতে পারেন।
  • এডসেন্স অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক:মনিটাইজেশনের উপযোক্ত হলে,আপনাকে একটি গুগল এডসেন্স অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে এবং তা আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সাথে লিঙ্ক করতে হবে।
  • বিজ্ঞাপন:আপনার ভিডিওতে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখানো হবে।যেমন:ভিডিওর আগে,মাঝখানে বা শেষে স্কিপযোগ্য বা স্কিপ করা যাবে না এমন বিজ্ঞাপন,ওভারলে বিজ্ঞাপন ইত্যাদি।
  • আয়:যখন দর্শক এই বিজ্ঞাপনে ক্লিক করেন বা বিজ্ঞাপনটি দেখেন,তখন আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পাবেন।এই আয় আপনার এডসেন্স অ্যাকাউন্টে জমা হবে।

গুগল এডসেন্স ইউটিউব এর জন্য যোগ্যতা

  • 1000 সাবস্ক্রাইবার:আপনার ইউটিউব চ্যানেলে কমপক্ষে 1000 সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে।
  • 4000 ঘন্টা ওয়াজটাইম:গত ১২ মাসে আপনার ভিডিওতে কমপক্ষে 4000 ঘন্টা ওয়াজটাইম  হতে হবে।
  • ইউটিউবের নীতি মালা মেনে চলা:আপনার ভিডিও ইউটিউবের নিতিমালা চলতে হবে।

লেখক এর মতামত

গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় গুলোনিয়ে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার জন্য ধৈর্য,পরিকল্পনা এবং কৌশল জানা থাকতে হবে।মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করতে হবে,সঠিক বিজ্ঞাপন বসানো এবং নিয়মিত পোষ্ট করা।সফল হতে হলে নির্দিষ্ট উপরে যে বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে সে বিষয় গুলো মেনে চলতে হবে।তাহলে আপনি মাস শেষে ভাল একটি এমাউন্ট গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url